ভালুকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ময়মনসিংহের ভালুকায় আওয়ামী দোষর ১০নং হবিরবাড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী হানিফ মাহমুদ নিপুন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য আব্দুল্লাহ বিন মনির (সোহাগ) গং কর্তৃক শ্রমিকদল নেতা শরিফের উপর হামলা এবং উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি সৌমিক হাসান সোহাগ এর বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট মানবন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) বিকালে ভালুকা উপজেলার বাসস্ট্যান্ডে সেভেন স্টার হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে হবিরবাড়ী ইউনিয়ন শ্রমিক দল নেতা মোঃ শরিফ আহম্মেদ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারী তারিখে শ্রীপুর উপজেলা শ্রমিক নেতা কাজল ফকির সহ ফাইভ স্টার কাউন্টার মালিক সহ কিছু নেতৃবৃন্দ ভালুকা উপজেলা শ্রমিকদলের কার্যালয়ে এসে হবিরবাড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক, চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী হানিফ মোহাম্মদ নিপুরন এর অন্তরক্ষী মোঃ আব্দুল্লাহ বিন মনির (সোহাগ) ও আলমগীর গং এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ জানায়। তার পরিপেক্ষিতে উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নির্দেশে ভালুকাকে চাঁদাবাজ মুক্ত কারার লক্ষে পরের দিন ২৬ ফেব্রুয়ারী তারিখে ভালুকা স্কয়ার মাস্টারবাড়ীর বিভিন্ন কাউন্টার ও ভ্রাম্যমান দোকানে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সচেতনতা মূলক প্রচারনা ও চাঁদাবাজদের কঠোর হাতে দমন করার নির্দেশ প্রদান ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা হয়। এই চাঁদাবাজি বন্ধ করার জেরে ২৮ ফেব্রুয়ারী তারিখ সকাল আনুমানিক ৭ টার দিকে আইডিয়াল মোড় থেকে মাওনা যাওয়ার পথে সন্ত্রাসীরা আমার উপর ক্ষীপ্ত হয়ে মোটরসাইকেল গতিরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালায়। পরে আমার ডাক চিৎকারে আমার পরিচিত ও এলাকাবাসী ও পথচারীরা এগিয়ে এলে আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়। পরবর্তীতে আমি আইনের সহযোগীতা গ্রহন করতে চাইলে তারা বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি ধামকি প্রধান করে এবং উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আলহাজ্ব সৌমিক হাসান সোহাগ কে গালিগালাজ সহ তিনি কিভাবে রাজনীতি করে তা দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।
তিনি আরও এই ঘটনার জেরে ১৫ মার্চ (শনিবার) সকালে উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি শ্রমিক বান্ধব নেতা আলহাজ্ব সৌমিক হাসান সোহাগ ও উপজেলা শ্রমিকদলের সহ-সভপতি, হারুন অর রশিদ, সহ সাধারন সম্পাদক, সবুজ গাজী, শরিফ, আতিক সহ তাদের বিরুদ্ধে উল্টো মিথ্য বানোয়াট মানব বন্ধন করেন। মূলত তাদের চাঁদাবাজি বন্ধ করার কারনে আওয়ামী যুবলীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা এই মিথ্য মানববন্ধনের ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপি ও শ্রমিকদলের সুনাম ও ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়।
এসময় তিনি এই ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং আওয়ামী দোষরদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
আপনার মতামত লিখুন