খুঁজুন
বুধবার, ২৮শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ঢাকা

ঈশ্বরগঞ্জে আগুনের ধোঁয়ায় ছড়াচ্ছে নানা রোগব্যাধি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত : শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:৪২ অপরাহ্ণ
ঈশ্বরগঞ্জে আগুনের ধোঁয়ায় ছড়াচ্ছে নানা রোগব্যাধি

ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ঈশ্বরগঞ্জ এলাকার ব্রিজের পাশ ঘেঁষেই ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার বিশাল ময়লার ভাগাড়। অঘোষিত এ ময়লার ভাগাড়ের দুর্গন্ধে স্থানীয়রা বিপাকে পড়ছে। ভাগাড়ে ময়লার আগুন প্রায়শই জ্বলতে থাকে। এ থেকে সৃষ্ট ধোঁয়া চারপাশে প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।

স্থানীয়রা জানায়, পৌরসভার এ ময়লার ভাগাড়ে আগুন প্রায়শই জ্বলতে থকে। এতে বিশাল কুণ্ডলী পাকিয়ে ধোঁয়া উড়ে। ধোঁয়ায় চতুর্দিক অন্ধকার হয়ে পড়ে। বিবর্ণ হয়ে পড়েছে এলাকার গাছপালা। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ যানবাহনের যাত্রীরা নাক-মুখ চেপে মহাসড়কে চলাচল করে।

জানা গেছে, ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজার থেকে প্রতিদিন যেসব ময়লা সংগ্রহ করা হয় এসব ময়লার বেশিরভাগ ফেলা হয় ব্রিজের পাশে এ এলাকায়। পৌর কর্তৃপক্ষ ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান জোগাড় করতে পারেনি।

স্থানীয়রা মনে করে, এ ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলাই দায়ী। মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলায় পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে। পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি স্থানীয়রা নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে, এটা দায়িত্বশীলরা উপলব্ধি করেননি। ফলে পৌরবাসীর দাবি মহাসড়কের পাশে ময়লা না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় এটি ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। জনবসতিপূর্ণ এলাকার বাইরে ময়লা ফেলার জায়গা নির্ধারণের দাবি পৌরবাসীর সচেতন অংশের।

নির্দিষ্ট ময়লা ফেলার স্থান না থাকায় পৌরসভার সব ময়লা ফেলা হচ্ছে মহাসড়কের পাশে। এ কারণে স্থানীয়রা পৌর প্রশাসনের ওপর ভীষণ ক্ষুব্ধ। ময়লার ভাগাড়ের দুর্গন্ধ বিশাল এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়দের বসবাস করাই কঠিন হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী জুনায়েদ আহমেদ বলেন, ‘ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ের আগুন ও ধোঁয়ার কারণে এলাকার অনেক মানুষ শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছে। খোলা আকাশের নিচে ময়লার ভাগাড়ে আগুন ও ধোঁয়া ওঠায় পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। এলাকার মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। অথচ পৌর প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর নীরব রয়েছে। প্রথম শ্রেণির একটি পৌরসভার ময়লা ও বর্জ্য মহাসড়কের পাশে কোন বুদ্ধিতে ফেলা হচ্ছে? দায়িত্বশীলদের উচিত এটা বন্ধ করা। পৌর প্রশাসন কেন ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা নির্ধারণ করছে না, তা ভেবে আমরা হতবাক।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক ইকবাল হোসেন বলেন, ‘বিষয়টির জন্য আমি দুঃখে প্রকাশ করছি। পৌরসভার অধীনে প্রতিদিন প্রচুর কাজ করতে হয়। উপজেলা ভূমি অফিসের কাজের পাশাপাশি পৌরসভার কাজগুলো প্রতিদিন সঠিকভাবে মনিটরিং করে আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি যতটা না আমার অবহেলা তারচেয়ে বেশি আমার সীমাবদ্ধতা। ছয় মাসের মধ্যে পৌরসভার জন্য একটি নির্দিষ্ট ময়লা ফেলার জায়গা বের করতে না পারা অবশ্যই আমার ব্যর্থতা। সেইসঙ্গে, নির্বাচিত প্রতিনিধি আসলে নিশ্চয়ই আপনারা এখানকার চেয়ে ভালো সেবা পাবেন। ততদিন পর্যন্ত একটু ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সকলের কাছে অনুরোধ কেউ যদি আপনার নিচু জমি পৌরসভার ময়লা দিয়ে ভরাট করতে চান আমাকে জানাবেন। বিনিময়ে আমরা একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা প্রদান করবো। ব্রীজের পাড়ে আমরা প্রথম ব্লিচিং পাউডার দিতাম। ব্লিচিং পাউডার দিয়ে মশা মরছে না এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আগুন লাগানো হচ্ছে। এছাড়া ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতাদিং নিয়মিত আগুন লাগানো হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই আমরা জায়গাটি বালু দিয়ে ভরাট করে দিবো। এমন পরিকল্পনা আছে আমাদের।’

ভালুকায় শিশু যৌন পাচার প্রতিরোধে সেমিনার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ৬:০৭ অপরাহ্ণ
ভালুকায় শিশু যৌন পাচার প্রতিরোধে সেমিনার

শিশু যৌন পাচার প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে ভালুকায় এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৯ মে) দুপুরে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘রূপান্তর’-এর সহযোগিতায় এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জাহিদা ফেরদৌসী।

এছাড়াও সেমিনারে অংশ নেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল, ভালুকা থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান ছামছুল হোসাইন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ, সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের প্রতিনিধি এবং রূপান্তর-এর কর্মকর্তারা।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, শিশুরা যেন পাচারের শিকার না হয়, সেজন্য পরিবার, সমাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। শিশুদের নিরাপত্তায় সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তাঁরা।

ভালুকায় ব্র্যাকের বীজ বিতরণ কর্মসূচি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ১:১৩ অপরাহ্ণ
ভালুকায় ব্র্যাকের বীজ বিতরণ কর্মসূচি

“থাকবেনা কোনো পতিত জমি”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসূচির শস্য নিরাপত্তা বীমা প্রকল্পের আওতায় ৩০ জন সদস্যের মাঝে সবজি বীজ বিতরণ করা হয়েছে।সোমবার বিকালে গাজীপুর রিজিওনের ভালুকা এরিয়ার মল্লিকবাড়ি, ভরাডোবা শাখায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান গঠনের লক্ষ্যে এসব বীজ বিতরণ করা হয়।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে পতিত জমির সর্বোত্তম ব্যবহার, পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং কৃষি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর রিজিওনের রিজিওনাল ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন, ভালুকা এরিয়ার এরিয়া ম্যানেজার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান এবং সংশ্লিষ্ট শাখাসমূহের শাখা ব্যবস্থাপকগণ।

ব্র্যাকের কর্মকর্তারা জানান, এই কর্মসূচির মাধ্যমে পরিবারগুলো নিজেদের খাবারের একটি বড় অংশ নিজস্ব উদ্যোগে উৎপাদন করতে পারবে, যা দীর্ঘমেয়াদে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি নারীরা কৃষিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে পরিবার ও সমাজে তাদের অবদানকে আরও দৃঢ় করতে পারবেন।

স্থানীয়ভাবে এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে এবং অংশগ্রহণকারীরা এই সহায়তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

কাবিখা প্রকল্পে কর্তাদের যোগসাজশে নয়-ছয়, বঞ্চিত দরিদ্র শ্রমিক

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১২ পূর্বাহ্ণ
কাবিখা প্রকল্পে কর্তাদের যোগসাজশে নয়-ছয়, বঞ্চিত দরিদ্র শ্রমিক

অতি দরিদ্র, ভূমিহীন ও বেকার মানুষদের খাদ্য নিশ্চিতকরণের জন্য কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। কাজ শেষ না করেই বিল উত্তোলন, নিয়ম মেনে কাজ না করা, নিম্নমানের কাজ, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ, প্রকল্পে শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটার বাধ্যবাধকতা থাকলে বাস্তবে এর প্রতিফলন নেই, গম বিক্রি করে দেওয়ার মত নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জর্জরিত কাবিখা প্রকল্প। এমনকি অস্তিত্বহীন প্রকল্প দেখিয়ে  নামসর্বস্ব প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখিয়ে তছরুফ করা হয়েছে প্রকল্পের টাকা। ঘটনাটি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়।

এস্কেভেটর (স্থানীয়ভাবে ভেকু নামে পরিচিত) মেশিন দিয়ে সস্তায় মাটি কাটার বড় ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সরকারের গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধির কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে।

জানা যায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) কর্মসূচীর আওতায় উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়জোড়া গ্রামের একটি মসজিদের জন্য ১২.৪৩০ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ হয়। মসজিদটির নাম দক্ষিণ বড়জোড়া বাইতুলনূর জামে মসজিদ। এই মসজিদের ঈদগাহ্ মাঠে মূলত মাটি ভরাটের জন্য এই গম বরাদ্দ হয়। কিন্তু ঈদগাহ্ মাঠে এক কোদাল মাটিও ফেলা হয়নি। এমনকি মসজিদের সাথে সংশ্লিষ্টরাও জানেন না এ বিষয়ে কিছুই। এই প্রকল্পের সভাপতি ইউনিয়ন চেয়রাম্যানের ফরিদ মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ব্যস্ত রয়েছেন। পরবর্তীতে তাঁর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কল রিসিভ করেননি।

মগটুলা ইউনিয়নের তরফ পাছাইল গ্রামে একটি রাস্তার ইটের সলিং বাবদ বরাদ্দ হয় ১০.৭৮৯ মেট্রিক টন গম। রাস্তাটি তরফ পাছাইল গ্রামের শাহজাহান মহল্লাদারের বাড়ি থেকে মালি বাড়ি পর্যন্ত হওয়ার কথা। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায়, কাজ প্রায় অর্ধেক বাকি। কিন্তু ইতোমধ্যে দুই কিস্তিতে গম তুলে নিয়েছেন প্রকল্পের সভাপতি, ইউপি সদস্য শরাফ উদ্দিন। শুধু তাই নয়, মাসখানেক আগে করা এই রাস্তা থেকে ইট খুলে ইতোমধ্যেই পাশের পুকুরে চলে যাওয়া শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, ‘কোনভাবেই এই রাস্তা আসন্ন বর্ষাকাল পাড় হবে না। বর্ষাকালের মধ্যেই পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে। এত নিম্নমানের কাজে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

ঈশ্বরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ইসলামপুর রাস্তা থেকে খৈরাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাস্তা পুননির্মাণ বাবদ বরাদ্দ হয় ৭.৮০৯ মেট্রিক টন গম। কাবিখা প্রকল্পে কাজ করানোর নিয়ম শ্রমিক দিয়ে। কাজ করা হয়েছে এক্সকেভেটর দিয়ে। পুরো রাস্তায় মাটিও ফেলা হয়নি। রাস্তা থেকেই মাটি কেটে মাটি সমান করা হয়েছে অনেক জায়গায়।

সরিষা ইউনিয়নের একটি রাস্তা  পুননির্মাণে বরাদ্দ হয় ৪.৫০০ মেট্রিক টন গম। ইতোমধ্যে পুরো গম তুলে নিয়েছেন প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। কিন্তু মাঠের কাজ করেছেন অর্ধেকের একটু বেশি। ধান কাটা হয়নি তাই কাজ করতে পারেননি বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান আব্দুর রাজ্জাক।

আঠারোবাড়ি ইউনিয়নে গ্রহণ করা হয় দুটো প্রকল্প। এর মধ্যে একটি সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় আর একটি সম্পূর্ণ ভুয়া। সরাতি ব্রীজ থেকে কাতিয়ার হাওর হাশেমের পুকুর পর্যন্ত একটি রাস্তা পুননির্মাণ করা হয়।এর জন্য বরাদ্দ হয় ১০.৫১ মেট্রিক টন গম। এই প্রকল্পেও কোনো শ্রমিক ব্যবহার করা হয়নি। বিধিবহির্ভূতভাবে এক্সকেভেটর ব্যবহার করা হয়েছে। এতে করে বঞ্চিত হয়েছে এলাকার লোকজন। সরেজমিনে এই রাস্তার কোনো প্রযোজনীয়তাও চোখে পড়েনি। সারাদিনে তেমন কোনো লোকজন হেঁটেও আসেন না এই রাস্তা দিয়ে, গাড়ি চলা তো বহু দূরের কথা! অথচ এলাকার লোকদের বঞ্চিত করে এক্সকেভটর দিয়ে কাজ করে এমন অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প ঠিকই শেষ হয়েছে। সবচেয়ে বড় হরিলুট হয়েছে আঠারোবাড়ির অন্য আরেকটি প্রকল্পে। প্রকল্পটি হলো সরাতি এমদাদুলের পানির পাম্প হতে নতুন ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তা পুননির্মাণ। আঠারোবাড়ির পূর্বের প্রকল্প এবং এই প্রকল্পটি মূলত একই রাস্তা। একই রাস্তা দেখিয়ে দুই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত ৯ মেট্রিকটন গম পুরোটাই আত্মসাৎ করা হয়েছে।

এছাড়াও প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের সময় কোনো সাইনবোর্ড ব্যবহার করা হয়নি। কাজের বিনিময়ে গম দেওয়ার নিয়ম থাকলেও নিয়ম না মেনে সেই গম ট্রাক ভরে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এসব অনিয়ম হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের চোখের সামনে। কিন্তু, কাউকেই কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনসাধারণ।

এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন,‘গম বিক্রি অবৈধ হলেও সবাই গম বিক্রি করে টাকা দেয়’।

কাবিখা প্রকল্পের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদুল আহমেদ বলেন, ‘যদি কোন কাজ না করা হয় তাহলে আমি কাজ করার নির্দেশনা দিবো। ইতোমধ্যে আমি আজকে আঠারোবাড়ির কাবিখা প্রকল্প পরিদর্শন করতে এসেছি’।