
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কাঠালীবন্দ গ্রামে বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর এবং মারধরের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী মো. আব্দুল মজিদ (৬০)। তিনি জানান, শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে একই এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি তার বাড়িতে ঢুকে মারাত্মক হামলা চালান।
অভিযুক্তরা হলেন ইসলাম ডাক্তারের ছেলে মো. রুকন মিয়া (৪০) ও মো. উজ্জ্বল মিয়া (৪৫) এবং রুকনের স্ত্রী মোছাঃ মিনা আক্তার (৩৬)। এছাড়াও অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়।
ভুক্তভোগী অভিযোগে উল্লেখ করেন, তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে অভিযুক্তরা দলবদ্ধভাবে তার বসতবাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ সময় তাকে ও তার স্ত্রী-সন্তানকে মারধর করা হয়।
তিনি জানান, অভিযুক্ত রুকন মিয়া হাতে থাকা বলছিড়া দা দিয়ে তাকে খুনের উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারার চেষ্টা করলে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে দা-এর গাড়া দিয়ে তার কোমরে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তখন বাকি অভিযুক্তরা লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
মারধরের সময় তার স্ত্রী জাহানারা খাতুন ছুটে এসে বাধা দিতে গেলে তারা তাকে টানা-হেঁচড়া করে বিবস্ত্র করার চেষ্টা করে। এরপর তাদের ছেলে ইসমাইল হোসেন ঘটনাস্থলে ছুটে এলে তাকেও শ্বাসনালী চেপে ধরে শ্বাসরোধের চেষ্টা করে। তাকেও বেধড়ক মারধর করে মারাত্মক জখম করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আবদুল মজিদ আরও বলেন, অভিযুক্তরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় আইনের তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলে, “এই ঘটনার বিষয়ে যদি মামলা করিস, তোদের এলাকা ছাড়া করবো।”
এদিকে অভিযুক্ত উজ্জ্বল মিয়া মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, তারা কলার ছড়ি কেটে নিয়ে গেছে। জিজ্ঞেস করায় আমাদের উপর চড়াও হলে তাদের সাথে হাতাহাতি হয়। আমরা তাদের আঘাত করিনি। তারাই আমাদের আঘাত করেছে।