
ময়মনসিংহের ভালুকায় জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে পৌর ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ হামলায় দুই নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। একই সঙ্গে বসতবাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে বুধবার (৪ জুন) ভালুকা মডেল থানায় সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মো. হাবিবুর রহমান (৪৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভালুকা উপজেলার বহুলী এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান ও বিবাদীরা পরস্পর সরা-শরিক। দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। গত ২ জুন বিকেল ৫টার দিকে পূর্ব বিরোধের জেরে স্থানীয় পৌর ছাত্রদল নেতা আশিকুজ্জামান আশিকের (২৬) নেতৃত্বে মেহেদী হাসান (৩২), মাসুম (২৫), নজরুল (৫২), হাবিবুর রহমান (৫৭), রশিদ (৪০), আলিফ (২২) সহ আরও কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হাবিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালায়।
অভিযোগে বলা হয়, হামলাকারীরা লোহার রড, দা, শাবল, লাঠি-শোঠা দিয়ে হাবিবুর রহমান, তার স্ত্রী সেফালী (৩০) এবং ছোট ভাইয়ের স্ত্রী তানজিনাকে (২৭) বেধড়ক মারধর করে। এ সময় সেফালীকে বাম পায়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে, যা তার স্থায়ী পঙ্গুত্বের কারণ হতে পারে বলে পরিবারের দাবি। এছাড়া হামলার সময় আশিক ও মেহেদী নারীদের কাপড় ধরে টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানির চেষ্টাও করে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
হামলার একপর্যায়ে বসতঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে প্রায় ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি করা হয় এবং শোকেসের ড্রয়ার ভেঙে কোরবানির গরু কেনার জন্য রাখা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ১ ভরি স্বর্ণের চেইন লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
হামলার পর স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগীর দাবি, এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে বিচারপ্রার্থী হলেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, “এ ঘটনায় মামলা রজু হয়েছে, আসামীদের গ্রেফতারসহ পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।”