খুঁজুন
রবিবার, ১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ঢাকা

আগামীর ভালুকা : ডা. জাহেদুল ইসলাম নতুন দিগন্ত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫, ৩:৫৩ অপরাহ্ণ
আগামীর ভালুকা : ডা. জাহেদুল ইসলাম নতুন দিগন্ত

ভালুকার মাটি ও মানুষের জন্য আজীবন কাজ করে যেতে চান ডা.জাহেদুল ইসলাম। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস‍্য সচিব হিসেবে বরাবরই অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার তিনি। তরুণ বয়স থেকেই তিনি তরুনদের নানা সমস্যা তুলে ধরেছেন এবং সমাধানের পথ খুঁজেছেন। আজও তিনি সেই একই ব্রত নিয়ে সামনে এগিয়ে চলেছেন, এক নতুন ভালুকার স্বপ্ন নিয়ে।

ভালুকার সন্তান হিসেবে এখানকার মানুষের দুঃখ-কষ্ট, উন্নয়ন-বঞ্চনার বাস্তবতা তাঁর নখদর্পণে। গত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী শাসনের কারণে ভালুকার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। তাই তিনি এক নতুন স্বপ্ন দেখছেন, একটি সমৃদ্ধ, সুস্থ ও টেকসই ভালুকা গড়ে তোলার। যেখানে তরুণদের এগিয়ে যাওয়ার পথ হবে মসৃণ, নাগরিক সুবিধা থাকবে নিশ্চিত,এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।

ভালুকার উন্নয়নে তাঁর অঙ্গীকার :

শিক্ষা ও কর্মসংস্থান : আধুনিক প্রশিক্ষণ, টেকনিক্যাল শিক্ষা ও উদ্যোক্তা হতে সহায়তার মাধ্যমে যুবসমাজকে দক্ষ করে তোলা।

স্বাস্থ্যসেবা : প্রতিটি ইউনিয়নে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা, মাতৃসদন ও কমিউনিটি ক্লিনিক উন্নয়ন এবং সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিতকরণ।

কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন : কৃষকদের জন্য সহায়ক নীতি, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির প্রচলন ও ন্যায্য বাজার নিশ্চিত করা।

পরিবেশ সংরক্ষণ : পানি দূষণ রোধ, সবুজায়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনার মাধ্যমে ভালুকার প্রাকৃতিক পরিবেশের মানোন্নয়ন।

অবকাঠামো উন্নয়ন : টেকসই সড়ক, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, নিরাপদ পানির ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ সুবিধার প্রসার।

সুশাসন ও স্বচ্ছতা : জনকল্যাণমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনগণের মতামতের প্রতিফলন নিশ্চিত করা এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তোলা।

ডিজিটাল সুবিধা : ই-গভর্নেন্স, ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং অনলাইন সেবা সহজীকরণ।

আগামীর ভালুকার জন্য এগিয়ে আসছেন তিনি ভালুকার মানুষের দীর্ঘদিনের অবহেলা ও বঞ্চনা দূর করতে। আধুনিক ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং সুশাসনের মাধ্যমে নাগরিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি কাজ করে যেতে চান। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসন থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পক্ষে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তাঁর বিশ্বাস, ভালুকার মানুষ এই পরিবর্তন চায়। উন্নত শিক্ষা, কর্মসংস্থান, পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা, আধুনিক কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা, এবং জনগণের মতামতের প্রতিফলন নিশ্চিত করে তিনি ভালুকার ভবিষ্যৎকে সমৃদ্ধ করতে চান। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে তিনি সকলকে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

একটি নতুন ভালুকার জন্য, যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত হবে, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তাই এবার ভালুকার মানুষ জেগে উঠবে, উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

ভরাডোবা ইউনিয়ন শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির পরিচিতি সভা ও শিক্ষক বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ৪:১৭ অপরাহ্ণ
ভরাডোবা ইউনিয়ন শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির পরিচিতি সভা ও শিক্ষক বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়ন শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভা, অবসরপ্রাপ্ত তিনজন শিক্ষককে বিদায় সংবর্ধনা এবং সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে ভালুকা সিটি গার্ডেন হোটেলে ওই সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি মো. আবদুর রশিদ আকন্দ এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. মো. নূরুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. মো. আজিজুল হক এবং বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইকবাল মুনির।

এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রিসার্চার ড. জেবুন নেছা রীনা, সমাজসেবিকা ফজিলাতুন্নেছা, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা অপরূপা মালাকার এবং ভালুকা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি গোলাম ফারুকসহ আরও অনেকে।

অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুর রশিদ এবং কোষাধ্যক্ষ মো. ইব্রাহিম খলিল।

ভালুকায় দুই গার্মেন্টসের দূষণ নিয়ে শুনানি, বন্ধে ৫ দফা নির্দেশনা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫, ৪:১৯ অপরাহ্ণ
ভালুকায় দুই গার্মেন্টসের দূষণ নিয়ে শুনানি, বন্ধে ৫ দফা নির্দেশনা

ময়মনসিংহের ভালুকায় অবস্থিত এক্সপেরিয়েন্স ও মুন্তাজিম নামের দুটি গার্মেন্টস কারখানা কর্তৃক আশপাশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগে বিস্তারিত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানি শেষে পরিবেশ রক্ষা ও ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত পাঁচ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

বুধবার (৯ জুলাই) অনুষ্ঠিত এ শুনানিতে স্থানীয় এলাকাবাসী, কৃষক ও কারখানার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন, কৃষি বিভাগ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা যৌথভাবে শুনানিতে অংশ নেন।

শুনানি শেষে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো, কারখানা দুটি থেকে সব ধরনের পরিবেশ দূষণ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ইটিপি (Effluent Treatment Plant) সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে, যাতে বর্জ্য যথাযথভাবে পরিশোধিত হয়। প্রাকৃতিক জলপ্রবাহে যে বাধা সৃষ্টি হয়েছে, তা অপসারণ করে পানির স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসন, কৃষি ও মৎস্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি যৌথ দল গঠন করে কারখানা পরিদর্শন করা হবে এবং কারখানাকে করণীয় বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এই যৌথ কমিটির নির্ধারণ অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।

শুনানিতে অংশগ্রহণকারী এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, গার্মেন্টস দুটির তরল বর্জ্য ফসলি জমি ও আশপাশের জলাশয়ে গিয়ে জমে থাকায় কৃষি ও মৎস্য সম্পদ ধ্বংসের মুখে পড়েছে। এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ জানালেও কার্যকর পদক্ষেপ ছিল না বলে তারা দাবি করেন।

উল্লেখ্য, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা জানান, পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের আওতায় কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভালুকায় ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫, ৪:০২ অপরাহ্ণ
ভালুকায় ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

ময়মনসিংহের ভালুকায় পাওনা টাকা চাওয়ায় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ইটভাটা মালিককে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে ভালুকা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সওদাগর পাঠান।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খারুয়ালী গ্রামের বাসিন্দা সওদাগর পাঠান দীর্ঘদিন ধরে মেদিলা গ্রামে “মেসার্স পাঠান ব্রিকস” নামে একটি ইটভাটা পরিচালনা করে আসছিলেন। ২০২১ সালে মেদিলা গ্রামের মৃত আলীম উদ্দিন সরকারের ছেলে ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা রিপন মিয়া দলীয় কিছু লোকজন নিয়ে ওই ইটভাটাটি জোরপূর্বক দখল করে নেন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে দাবি করেন সওদাগর পাঠান।

তিনি আরও জানান, ভাটা দখলের সময় তার কাছ থেকে জোর করে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়। তখন রাজনৈতিক কারণে একাধিক মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হলে পরিবারসহ তিনি আত্মগোপনে চলে যেতে বাধ্য হন। ফলে আইনি সহায়তা নেয়ার সুযোগ পাননি।

সওদাগর পাঠানের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি যখন পাওনা টাকা ফেরত চাইতে শুরু করেন, তখন রিপন মিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।

সওদাগর পাঠান বলেন, ২০১৭ সালে তিনি মেদিলা গ্রামে ইটভাটাটি স্থাপন করেন। পারিবারিক ভাবে বিএনপির রাজনীতি করায় ২০২১ সালে মামলার কারণে আত্মগোপনে ছিলেন। সেই সুযোগে রিপন মিয়া ভাটাটি দখল করে প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেয় এবং একা পেয়ে জোর করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। পরবর্তীতে পাওনা টাকা চাইলে নানা রকম হুমকি ও হয়রানি শুরু করেন।

ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত রিপন মিয়ার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।