খুঁজুন
বুধবার, ১৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ঢাকা

ভালুকায় পৈতৃক ভিটা থেকে উচ্ছেদের পায়তারা, গ্রাম্য মাতব্বরের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদা দাবির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৭:৪১ অপরাহ্ণ
ভালুকায় পৈতৃক ভিটা থেকে উচ্ছেদের পায়তারা, গ্রাম্য মাতব্বরের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদা দাবির অভিযোগ

ময়মনসিংহের ভালুকায় ওয়ারিশি সম্পত্তি নিয়ে দুই বোনের দীর্ঘদিনের বিরোধ, সালিশে মিমাংসা করায় স্থানীয় সালিশকারীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে মিথ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছেন প্রভাবশালী স্বেচ্ছাসেবকলীগ দুই নেতা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের মাধুর ভিটা এলাকায় সিএস ৭৭৮নং দাগে ১৯৮০ সনে সাফ কবলা দলিল মূলে ৫ একর জমির ক্রয় সুত্রে সমহারে মালিক হন হাজী মোক্তার হোসেন ওরফে মলমইল্লা হাজী ও তার স্ত্রী হাবিবুন নেছা। স্ত্রী হাবিবুন নেছা মারা যাওয়ার পর হাবিবুন নেছার ভাগের সম্পত্তি দুই মেয়ের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হয়। কিন্তু ছোট মেয়ে বিলকিস ও তার দুই ছেলে হুমায়ুন কবির ও আল-আমিন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রভাবশালী নেতা বিভিন্ন ভাবে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ওই সম্পত্তি জবরদখল করে রাখে। ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর স্থানীয় ভাবে কয়েক দফায় সালিশের পর গত ৮ মার্চ একটি গ্রাম্য সালিশে বাদী ও বিবাদীর পিতা হাজী মোক্তার হোসেন ওরফে মলমইল্লা হাজীর উপস্থিতিতে বড় মেয়ে মমতাজ বেগমের ভাগের সম্পত্তি বুঝিয়ে দিলে উক্ত জমিতে দখলে যায় বড় মেয়ের পরিবার। ওই জমি পুনরায় জবরদখলে নিতে ভুক্তভোগী পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে ওই স্বেচ্ছাসেবক লীগ দুই নেতা। পরে ভুক্তভোগী পরিবার পুনরায় স্থানীয় সালিশকারীদের শরণাপন্ন হলে সালিশকারীগণ ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। এ ঘটনায় উক্ত জমি জবরদখল নিতে ব্যর্থ হয়ে সোহাগ মিয়া ও শরিফ মন্ডল নামে সালিশকারী দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২০ লাক টাকা চাঁদা দাবির মিথ্যে অভিযোগ তুলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ওই দুই নেতা।

ভুক্তভোগী পরিবার বলেন, আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ জবরদখল রেখেছিলো স্থানীয় সালিশে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। উক্ত জমি আবারও জবরদখল করতে আমাদের পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে হুমায়ুন কবির, আল-আমিন ও সুমন।

স্থানীয়রা বিল্লাল হোসেন ও জহিরুল জানান, গ্রাম্য সালিশে ওই জমির দীর্ঘদিনের বিরোধ মিমাংসা হওয়ার পরে হুমায়ুন ও আল-আমিন, সুমন এর বড় খালার ওই সম্পত্তি পুনরায় জবরদখল করতে অপচেষ্টা করে, পরে স্থানীয় সালিশকারীগণ ভুক্তভোগী পরিবার পাশে দাঁড়ানোর কারণে চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলে। আসলে চাঁদা দাবির বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তবে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগের বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করে হুমায়ুন কবির ও আল-আমিন বলেন, সরাসরি টাকা চাইনি, আমাদের জায়গা নিয়ে যাচ্ছে কি করবো কিছু একটাতো বলতে হবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান ভুক্তভোগী সোহাগ মিয়া ও শরিফ মন্ডল।

ঈশ্বরগঞ্জে মানসম্মত শিক্ষার অভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকছে মাদ্রাসায়

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫, ৭:৫০ অপরাহ্ণ
ঈশ্বরগঞ্জে মানসম্মত শিক্ষার অভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকছে মাদ্রাসায়

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর জিথর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ দিনদিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ের মাঠ গরু রাখার স্থানে পরিণত হয়েছে, শহীদ মিনার পড়ে আছে অযত্নে-অবহেলায়, আর শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। মানসম্মত পাঠদানের অভাবে অনেক শিক্ষার্থী আশ্রয় নিচ্ছে স্থানীয় মাদ্রাসাগুলোতে।

সরেজমিনে উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের ২৮নং শ্রীপুর জিথর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টিতে কর্মরত ছয়জন শিক্ষকের মধ্যে পাঁচজন উপস্থিত ছিলেন। তবে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল অত্যন্ত হতাশাজনক। ৩য় শ্রেণিতে ২৬ জনের মধ্যে ১১ জন, ৪র্থ শ্রেণিতে ২২ জনের মধ্যে মাত্র ৫ জন এবং ৫ম শ্রেণিতে ২১ জনের মধ্যে উপস্থিত ছিল মাত্র ৭ জন। বিদ্যালয়ের মাঠে গরু বাঁধা ছিল এবং পুরাতন ঘরে রাখা ছিল গরুর খড়। শহীদ মিনারটি আগাছায় ভরা, মল-মূত্রে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে ঢাকা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শিক্ষকরা ঠিকমতো সময়মতো বিদ্যালয়ে আসেন না এবং দুপুরের আগেই বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে চলে যান। শিক্ষকদের অনিয়মিততা ও পাঠদানে গাফিলতির কারণে দিনদিন শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামান বলেন, “আমাদের শিক্ষকরা যথাসময়ে উপস্থিত হয়ে পাঠদান করেন। তবে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার কম। উপবৃত্তির আওতায় ১০৭ জন শিক্ষার্থী থাকলেও অনেকেই বিদ্যালয়ে আসে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেক শিক্ষার্থী স্থানীয় মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে ক্লাস করছে।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আহমেদ বলেন, “আমি এখনো ওই বিদ্যালয়ে যাইনি। তবে দ্রুতই পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

স্থানীয় অভিভাবক ও সচেতন মহলের দাবি, বিদ্যালয়ে নিয়মিত তদারকি ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত না করা হলে ভবিষ্যতে এখানকার শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষাও হুমকির মুখে পড়বে।

ভালুকার আলোচিত তিন খুন মামলার প্রধান আসামি নজরুল গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫, ৭:১১ অপরাহ্ণ
ভালুকার আলোচিত তিন খুন মামলার প্রধান আসামি নজরুল গ্রেফতার

ময়মনসিংহের ভালুকায় সংঘটিত আলোচিত তিন খুন মামলার প্রধান আসামি নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, ঘটনার পর থেকেই নজরুল পলাতক ছিলেন। তাকে গ্রেফতারের জন্য ভালুকা মডেল থানার চারটি টিম একযোগে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিকেলে জয়দেবপুর থেকে নজরুলকে গ্রেফতার করে একটি টিম।

উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে ভালুকা পৌর শহরের টিএন্ডটি রোড এলাকার একটি বাসায় নজরুল ইসলাম তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী ময়না বেগম (২৫), মেয়ে রাইসা (৭) এবং ছেলে নিরব (২)–কে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার দিন সকালে নাইট শিফট শেষে বাসায় ফিরে এসে স্বামী রফিকুল ইসলাম ঘরের ভেতরে ঢুকে স্ত্রীর ও দুই সন্তানের রক্তাক্ত নিথর দেহ দেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধারালো একটি দা উদ্ধার করে, যা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

ভালুকায় চা দোকানিদের পুনর্বাসনে উপজেলা ও পৌর প্রশাসনের নান্দনিক টি-স্টল উপহার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫, ১:৫৩ অপরাহ্ণ
ভালুকায় চা দোকানিদের পুনর্বাসনে উপজেলা ও পৌর প্রশাসনের নান্দনিক টি-স্টল উপহার

ময়মনসিংহের ভালুকায় যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে মহাসড়কের পাশের অবৈধ চা দোকান উচ্ছেদ করে সেই দোকানিদের পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে নান্দনিক টি-স্টল হস্তান্তর করেছে উপজেলা প্রশাসন ও ভালুকা পৌরসভা।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ পৌর এলাকার ২৬ জন চা দোকানির মাঝে ওই স্টলগুলো হস্তান্তর করেন। মাত্র ৫০০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি দিয়ে এসব দোকানিরা স্টলগুলো পেয়েছেন।

এর আগে, মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা অস্থায়ী চা দোকানগুলো যানজট ও জনভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। জনস্বার্থে সেই দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হলেও মানবিক দিক বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট দোকানিদেরকে বিনামূল্যে পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

স্টল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইকবাল হোসাইন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জাহিদা ফেরদৌসী, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সাইদুর রহমান প্রমুখ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, “উচ্ছেদের পর দোকানিরা বেকার হয়ে পড়েন। মানবিক দিক বিবেচনায় তাদের পুনর্বাসনের জন্য বিনামূল্যে দোকানগুলো দেওয়া হয়েছে। তারা যেন এসব দোকান পরিচ্ছন্ন রাখে, সাজিয়ে-গুছিয়ে পরিচালনা করে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”