খুঁজুন
সোমবার, ১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ঢাকা

হত্যা মামলায় পুলিশের ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত : বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ
হত্যা মামলায় পুলিশের ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার জাটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী মো. আরমান (২৪) হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে থানার পুলিশের বিরুদ্ধে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, মামলার মূল আসামিদের না ধরে নিরপরাধ লোকদের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করছে পুলিশ।

২০২৪ সালের ১ অক্টোবর ভোর রাতে বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালনকালে আরমানকে হত্যা করা হয়। নিহত আরমান হোসেন ছিলেন স্থানীয় লোকমান হেকিমের ছেলে। তিনি ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর ওই বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী হিসেবে যোগ দেন।

ঘটনার পর রাতেই আরমানের মা শামসুন্নাহার ঝরনা বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই মামলার প্রধান আসামি মাসুদকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়।

কিছুদিন পর মাসুদ উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দিনের সহায়তায় তিনি জামিনে মুক্তি পান। বাদী দাবি করেছেন, মাসুদ গ্রাম পুলিশ হওয়ায় থানার ওসির সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে মামলাটি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

২০২৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রাতের বেলায় তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে চারজনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন—আরিফ বিল্লাহ বাচ্চু, রিফাতুল ইসলাম শাহীন, বাবুল মিয়া ও রোমান মিয়া।

তাদের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। পরে কিশোর বাবুলের পিতা মোনায়েম মিয়া ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেলেকে মুক্ত করে আনেন।

রিফাতুল ইসলাম শাহীন বলেন, তাকে রাত ২টার সময় ঘর থেকে তুলে নিয়ে থানায় এনে ঝুলিয়ে মারধর করা হয়। তাকে হত্যামামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়।

কিশোর বাবুল জানান, তাকে বেদড়ক পেটানো হয়। পরে পরিবার টাকা দেওয়ার পর ছাড়া পান। মুক্তির আগে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হয় এবং মিথ্যা ভিডিও রেকর্ড করা হয়।

জাটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, তদন্তের স্বার্থে চারজনকে থানায় আনা হয়েছিল এবং পরে জিডি মূলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। টাকার বিনিময়ে ছাড়া পাওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানান তিনি।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি ওবায়দুর রহমান বলেন, চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জিডি মূলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। টাকার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। এদিকে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও পরিবর্তন করা হয়েছে।

ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার আক্তার-উল-আলমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

ভরাডোবা ইউনিয়ন শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির পরিচিতি সভা ও শিক্ষক বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ৪:১৭ অপরাহ্ণ
ভরাডোবা ইউনিয়ন শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির পরিচিতি সভা ও শিক্ষক বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়ন শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভা, অবসরপ্রাপ্ত তিনজন শিক্ষককে বিদায় সংবর্ধনা এবং সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে ভালুকা সিটি গার্ডেন হোটেলে ওই সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি মো. আবদুর রশিদ আকন্দ এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. মো. নূরুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. মো. আজিজুল হক এবং বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইকবাল মুনির।

এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রিসার্চার ড. জেবুন নেছা রীনা, সমাজসেবিকা ফজিলাতুন্নেছা, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা অপরূপা মালাকার এবং ভালুকা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি গোলাম ফারুকসহ আরও অনেকে।

অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুর রশিদ এবং কোষাধ্যক্ষ মো. ইব্রাহিম খলিল।

ভালুকায় দুই গার্মেন্টসের দূষণ নিয়ে শুনানি, বন্ধে ৫ দফা নির্দেশনা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫, ৪:১৯ অপরাহ্ণ
ভালুকায় দুই গার্মেন্টসের দূষণ নিয়ে শুনানি, বন্ধে ৫ দফা নির্দেশনা

ময়মনসিংহের ভালুকায় অবস্থিত এক্সপেরিয়েন্স ও মুন্তাজিম নামের দুটি গার্মেন্টস কারখানা কর্তৃক আশপাশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগে বিস্তারিত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানি শেষে পরিবেশ রক্ষা ও ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত পাঁচ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

বুধবার (৯ জুলাই) অনুষ্ঠিত এ শুনানিতে স্থানীয় এলাকাবাসী, কৃষক ও কারখানার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন, কৃষি বিভাগ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা যৌথভাবে শুনানিতে অংশ নেন।

শুনানি শেষে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো, কারখানা দুটি থেকে সব ধরনের পরিবেশ দূষণ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ইটিপি (Effluent Treatment Plant) সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে, যাতে বর্জ্য যথাযথভাবে পরিশোধিত হয়। প্রাকৃতিক জলপ্রবাহে যে বাধা সৃষ্টি হয়েছে, তা অপসারণ করে পানির স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসন, কৃষি ও মৎস্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি যৌথ দল গঠন করে কারখানা পরিদর্শন করা হবে এবং কারখানাকে করণীয় বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এই যৌথ কমিটির নির্ধারণ অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।

শুনানিতে অংশগ্রহণকারী এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, গার্মেন্টস দুটির তরল বর্জ্য ফসলি জমি ও আশপাশের জলাশয়ে গিয়ে জমে থাকায় কৃষি ও মৎস্য সম্পদ ধ্বংসের মুখে পড়েছে। এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ জানালেও কার্যকর পদক্ষেপ ছিল না বলে তারা দাবি করেন।

উল্লেখ্য, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা জানান, পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের আওতায় কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভালুকায় ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫, ৪:০২ অপরাহ্ণ
ভালুকায় ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

ময়মনসিংহের ভালুকায় পাওনা টাকা চাওয়ায় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ইটভাটা মালিককে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে ভালুকা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সওদাগর পাঠান।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খারুয়ালী গ্রামের বাসিন্দা সওদাগর পাঠান দীর্ঘদিন ধরে মেদিলা গ্রামে “মেসার্স পাঠান ব্রিকস” নামে একটি ইটভাটা পরিচালনা করে আসছিলেন। ২০২১ সালে মেদিলা গ্রামের মৃত আলীম উদ্দিন সরকারের ছেলে ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা রিপন মিয়া দলীয় কিছু লোকজন নিয়ে ওই ইটভাটাটি জোরপূর্বক দখল করে নেন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে দাবি করেন সওদাগর পাঠান।

তিনি আরও জানান, ভাটা দখলের সময় তার কাছ থেকে জোর করে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়। তখন রাজনৈতিক কারণে একাধিক মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হলে পরিবারসহ তিনি আত্মগোপনে চলে যেতে বাধ্য হন। ফলে আইনি সহায়তা নেয়ার সুযোগ পাননি।

সওদাগর পাঠানের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি যখন পাওনা টাকা ফেরত চাইতে শুরু করেন, তখন রিপন মিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।

সওদাগর পাঠান বলেন, ২০১৭ সালে তিনি মেদিলা গ্রামে ইটভাটাটি স্থাপন করেন। পারিবারিক ভাবে বিএনপির রাজনীতি করায় ২০২১ সালে মামলার কারণে আত্মগোপনে ছিলেন। সেই সুযোগে রিপন মিয়া ভাটাটি দখল করে প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেয় এবং একা পেয়ে জোর করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। পরবর্তীতে পাওনা টাকা চাইলে নানা রকম হুমকি ও হয়রানি শুরু করেন।

ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত রিপন মিয়ার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।