খুঁজুন
শুক্রবার, ১১ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ঢাকা

ঈশ্বরগঞ্জে এলামনাই এসোসিয়েশনের কার্য নির্বাহী কমিটি গঠন

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ১:৩৮ অপরাহ্ণ
ঈশ্বরগঞ্জে এলামনাই এসোসিয়েশনের কার্য নির্বাহী কমিটি গঠন

ময়মনসিংহে ঈশ্বরগঞ্জে বিশ্বেশ্বরীয়ান ক্রিকেট ফেস্টিভ্যাল-২০২৫ সিজন-৫ এলামনাই এসোসিয়েশনের কার্য নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩১ সদস্য বিশিষ্ট এই নির্বাহী কমিটিতে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমিরুল ইসলাম ভূঞা মনিকে আহ্বায়ক এবং ১৯৯৪ ব্যাচের মো. এনামুল হক ভূইয়া (ইমু) কে সদস্য সচিব ও সৈয়দ শারাফাত হোসেন রাহাত কে যুগ্ম সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়।

সোমবার (১১ মার্চ) রাতে ঈশ্বরগঞ্জ বিশ্বেশ্বরী ক্রিকেট ফেস্টিভ্যাল ফেসবুক গ্রুপ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। একই দিনে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কার্য নির্বাহী কমিটির সাথে ১২০ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এর আগে ঈশ্বরগঞ্জ বিশ্বেশ্বরী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতি ক্রমে  ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমিরুল ইসলাম ভূঞা মনিকে আহ্বায়ক এবং ১৯৯৪ ব্যাচের মো. এনামুল হক ভূইয়া (ইমু) কে সদস্য সচিব ও ২০০৬ ব্যাচের সৈয়দ শারাফাত হোসেন রাহাত কে যুগ্ম সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়।

নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্রিকেটের পুনঃজাগরণের জন্য সর্বমহলের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেছেন।

উল্লেখ্য, ঐতিহ্যবাহী বিশ্বেশ্বরীয়ান ক্রিকেট ফ্যাস্টিবল পরিচালনার জন্য বিশ্বেশ্বরীয়ান এলামনাই এসোসিয়েশনের কার্য নির্বাহী কমিটি এবং উপদেষ্টা কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে প্রধান উদ্দোক্তা হিসেবে কাজ করছেন উক্ত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ৯৪ ব্যাচের হারুন অর রশিদ।

ভালুকায় দুই গার্মেন্টসের দূষণ নিয়ে শুনানি, বন্ধে ৫ দফা নির্দেশনা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫, ৪:১৯ অপরাহ্ণ
ভালুকায় দুই গার্মেন্টসের দূষণ নিয়ে শুনানি, বন্ধে ৫ দফা নির্দেশনা

ময়মনসিংহের ভালুকায় অবস্থিত এক্সপেরিয়েন্স ও মুন্তাজিম নামের দুটি গার্মেন্টস কারখানা কর্তৃক আশপাশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগে বিস্তারিত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানি শেষে পরিবেশ রক্ষা ও ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত পাঁচ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

বুধবার (৯ জুলাই) অনুষ্ঠিত এ শুনানিতে স্থানীয় এলাকাবাসী, কৃষক ও কারখানার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন, কৃষি বিভাগ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা যৌথভাবে শুনানিতে অংশ নেন।

শুনানি শেষে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো, কারখানা দুটি থেকে সব ধরনের পরিবেশ দূষণ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ইটিপি (Effluent Treatment Plant) সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে, যাতে বর্জ্য যথাযথভাবে পরিশোধিত হয়। প্রাকৃতিক জলপ্রবাহে যে বাধা সৃষ্টি হয়েছে, তা অপসারণ করে পানির স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসন, কৃষি ও মৎস্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি যৌথ দল গঠন করে কারখানা পরিদর্শন করা হবে এবং কারখানাকে করণীয় বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এই যৌথ কমিটির নির্ধারণ অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।

শুনানিতে অংশগ্রহণকারী এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, গার্মেন্টস দুটির তরল বর্জ্য ফসলি জমি ও আশপাশের জলাশয়ে গিয়ে জমে থাকায় কৃষি ও মৎস্য সম্পদ ধ্বংসের মুখে পড়েছে। এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ জানালেও কার্যকর পদক্ষেপ ছিল না বলে তারা দাবি করেন।

উল্লেখ্য, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা জানান, পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের আওতায় কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভালুকায় ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫, ৪:০২ অপরাহ্ণ
ভালুকায় ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

ময়মনসিংহের ভালুকায় পাওনা টাকা চাওয়ায় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ইটভাটা মালিককে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে ভালুকা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সওদাগর পাঠান।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খারুয়ালী গ্রামের বাসিন্দা সওদাগর পাঠান দীর্ঘদিন ধরে মেদিলা গ্রামে “মেসার্স পাঠান ব্রিকস” নামে একটি ইটভাটা পরিচালনা করে আসছিলেন। ২০২১ সালে মেদিলা গ্রামের মৃত আলীম উদ্দিন সরকারের ছেলে ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা রিপন মিয়া দলীয় কিছু লোকজন নিয়ে ওই ইটভাটাটি জোরপূর্বক দখল করে নেন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে দাবি করেন সওদাগর পাঠান।

তিনি আরও জানান, ভাটা দখলের সময় তার কাছ থেকে জোর করে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়। তখন রাজনৈতিক কারণে একাধিক মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হলে পরিবারসহ তিনি আত্মগোপনে চলে যেতে বাধ্য হন। ফলে আইনি সহায়তা নেয়ার সুযোগ পাননি।

সওদাগর পাঠানের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি যখন পাওনা টাকা ফেরত চাইতে শুরু করেন, তখন রিপন মিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।

সওদাগর পাঠান বলেন, ২০১৭ সালে তিনি মেদিলা গ্রামে ইটভাটাটি স্থাপন করেন। পারিবারিক ভাবে বিএনপির রাজনীতি করায় ২০২১ সালে মামলার কারণে আত্মগোপনে ছিলেন। সেই সুযোগে রিপন মিয়া ভাটাটি দখল করে প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেয় এবং একা পেয়ে জোর করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। পরবর্তীতে পাওনা টাকা চাইলে নানা রকম হুমকি ও হয়রানি শুরু করেন।

ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত রিপন মিয়ার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সাবেক সচিব ও সরকারি কর্মকর্তাদের ১২ ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫, ৮:৩৫ অপরাহ্ণ
সাবেক সচিব ও সরকারি কর্মকর্তাদের ১২ ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল

জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন একটি প্রকল্পে সাবেক সচিব ও সরকারি কর্মকর্তাদের ১২ ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ‘ঢাকার ধানমণ্ডি ও মোহাম্মদপুরস্থ বিভিন্ন পরিত্যক্ত বাড়িতে আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (গৃহায়ন ধানমণ্ডি) (১ম পর্যায়)’ প্রকল্পের আওতায় ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকার সড়ক নং-১৩ (নতুন-৬/এ)-এর বাড়ি নং-৭১১ (নতুন-৬৩)-এর ওপর নির্মাণাধীন ভবনে এই বরাদ্দ বাতিল করা হয়।

যাদের ফ্ল্যাট বরাদ্দ বাতিল হয়েছে, তারা হলেন, সাবেক বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. জহুরুল হক (৪১০৫.০৫ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান (২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান (৪৩০৮.৬৮ বর্গফুট), সাবেক সচিব এম এ কাদের সরকার (২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব ড. এম আসলাম আলম (২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সচিব আকতারী মমতাজ (২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সচিব মো. সিরাজুল হক খান (২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ (২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সিনিয়র জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (২০৪৯.১৩ বর্গফুট), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ (২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান (২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক (২০৪৯.১৩ বর্গফুট)।

এ সিদ্ধান্ত জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গঠিত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন এবং সংস্থাটির ২৭৪তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে গৃহীত হয়েছে।