খুঁজুন
রবিবার, ১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ঢাকা

পরিচয় পালটে নতুন রূপে ছাত্রলীগ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ
পরিচয় পালটে নতুন রূপে ছাত্রলীগ

রাজধানীসহ সারা দেশে ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির মতো অপরাধ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। এর পেছনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ অনেকাংশে দায়ী। নিষিদ্ধ ঘোষিত এ সংগঠনটির মাস্টারমাইন্ডরা পরিকল্পিতভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পেশাদার অপরাধীদের নানা পন্থায় মাঠে নামাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে নিজেরাও যুক্ত হচ্ছে। এসব অপরাধ কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারসহ বিভিন্ন অ্যাপস গ্রুপের মাধ্যমে। গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানে সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

এদিকে এ চক্রের পুরো নেটওয়ার্ককে চিহ্নিত করতে জড়িতদের তালিকা প্রণয়নসহ পাঁচ ধরনের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের উচ্চপর্যায় থেকে ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, মূলত পাঁচটি বিষয়ে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়। এর মধ্যে রয়েছে-নিষিদ্ধ সংগঠনটির নেতাকর্মীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, সামাজিক কার্যক্রম এবং সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে হালনাগাদ খবরাখবর রাখা। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এই নির্দেশনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পূর্ণ নাম ও পরিচয়, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর (যদি থাকে), রাজনৈতিক পরিচয় ও সংগঠনে অবস্থান, অতীত ও বর্তমান কার্যক্রমের বিবরণ, জিডি বা মামলা থাকলে তার তথ্য জরুরি ভিত্তিতে দিতে বলা হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, হয়রানি বা মামলার জন্য নয়, নিষিদ্ধ এই সংগঠনটির নেতাকর্মীদের কার্যক্রম এবং গতিবিধি নজরদারিতে রাখতেই তালিকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। তাদের দাবি, যে কোনো নিষিদ্ধ সংগঠনের জন্য এসব তথ্য প্রয়োজন। শুধু ছাত্রলীগ নয়, নিষিদ্ধ সব সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিষয়েও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে।

ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর পর থেকেই মূল দল আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও আত্মগোপনে চলে যান। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ছাত্র সমাজের দাবির মুখে গত বছরের ২৩ অক্টোবর ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার।

গোয়েন্দা তথ্য বলছে, আত্মগোপনে থাকা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে। গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে কিছুদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। যে রকম সংঘাত-সহিংসতার আশঙ্কা করা হয়েছিল সেটি হয়নি। কিন্তু এক মাস ধরে হঠাৎ করেই সামাজিক অস্থিরতা বেড়ে গেছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই, ডাকাতির মতো ঘটনা বেড়ে চলেছে। তবে এসব অপরাধের বেশির ভাগ পরিকল্পিত এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাত রয়েছে। এ অবস্থায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আরও সতর্ক ও সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, নিষিদ্ধ এই সংগঠনটির নেতাকর্মীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন বলেও মত দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

একই অভিযোগ রয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকেও। তাদের মতে, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের হাতে অবৈধ অস্ত্র ছাড়াও কালোটাকাও আছে। এ দুই শক্তিতে ভর করে নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। এজন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গতিবিধি অনুসরণ করতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জেলা পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর আবার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে থানায় থানায় চিঠি দিয়ে দ্রুত তাদের তালিকা সংগ্রহ করে সদর দপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর বলেছে, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন। আইন অনুযায়ী এদের সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাদের মতে, কোনো দমন-পীড়ন, হয়রানি বা মামলা করতে নয়; রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের তথ্য-উপাত্ত যাচাই করা হচ্ছে। শুধু ছাত্রলীগই নয়, হিজবুত তাহরির, সশস্ত্র সর্বহারা পার্টিসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য দল এবং সংগঠনের বিষয়েও খোঁজখবর নিচ্ছেন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা।

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মুখপাত্র) ইনামুল হক সাগর সোমবার বলেন, মামলার আসামিদের খোঁজখবর রাখা মামলা তদারকির নিয়মিত অংশ। তবে ছাত্রলীগের তালিকার চিঠির বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপাররা বিস্তারিত বলতে পারবেন।

এ প্রসঙ্গে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ নুরল হুদা বলেন, কেউ রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ হলে পুলিশ তার তালিকা করবে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে-এটাই স্বাভাবিক। এটি বিশেষ কোনো দলের জন্য নয়, যে কোনো নিষিদ্ধ সংগঠনের জন্যই প্রযোজ্য।

অভিযোগ রয়েছে, এরই মধ্যে আত্মগোপনে থাকা সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অনেকেই ভোল পালটাতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং ছাত্র সংগঠনে আশ্রয় নেওয়ার পথ খুঁজছেন তারা। দলগুলোও আবার নিজেদের প্রভাব বলয় ও শক্তি বাড়াতে কাছে টানছেন নিষিদ্ধ ঘোষিত এই সংগঠনের নেতাকর্মীদের। এর বাইরে আত্মগোপনে থাকা সংগঠনটির অধিকাংশ নেতাকর্মী নানা উপায়ে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছেন বলে তথ্য মিলেছে। জানা গেছে, ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো, সিগন্যালসহ বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে এরা সংগঠিত হওয়াসহ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। এছাড়া সমাজে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে তারা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য, মাদকসেবীসহ চিহ্নিত অপরাধীদের কাজে লাগাচ্ছে। এদের ব্যবহার করে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ সংঘটিত করাচ্ছে। এ জন্য প্রয়োজনমতো আর্থিক বিনিয়োগও করা হচ্ছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। কিছুদিন আগে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের একটি অডিও ভাইরাল হয়। ঢাকায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগের এই নেতা নির্দেশ দেন। এজন্য যা যা করণীয় তিনি করবেন বলেও অডিও বার্তায় শোনা যায়। অডিও বার্তায় জাহাঙ্গীর আলমকে বলতে শোনা যায়, ‘যে শহরে আমাদের নেতাকর্মী দিনের বেলায় চলাচল করতে পারবে না, সে শহরে রাতে কেউ ঘুমাতে পারবে না।’ এ বক্তব্য শোনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নড়েচড়ে বসে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের পর সংগঠনটির পুনর্গঠন বা বিকল্প শক্তি তৈরির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বিশেষ করে একটানা ক্ষমতার ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের মূল লাঠিয়াল বাহিনী হিসাবেই পরিচিতি পায় নিষিদ্ধ ঘোষিত এই সংগঠনটি। এরা হেলমেট বাহিনী বলেও পরিচিত। ক্যাম্পাসগুলোতে এমন কোনো অন্যায়, অনাচার নেই, যা তাদের হাত ধরে ঘটেনি। রুম দখল, টর্চার সেল তৈরি করে নিরীহ ছাত্রদের দমন-পীড়ন, হয়রানি-নির্যাতন, টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজি-জবরদখল-সর্বত্রজুড়ে ছিল ছাত্রলীগের নাম। কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ে ছাত্রলীগের কথাই ছিল আইন। এই আইন অমান্যের শাস্তি ছিল ভয়াবহ এবং নির্মম। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর সেই চিরচেনা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সদস্যরা চলে যান আত্মগোপনে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল এ প্রসঙ্গে সোমবার বলেন, একটি ছেলে বা একটি মেয়ে এক সময় ছাত্রলীগ করেছে, এটা অপরাধ নয়। কিন্তু ছাত্রলীগ করার নামে যারা নানা সময়ে অপরাধ করেছে, যারা চিহ্নিত অপরাধী, যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, মামলা রয়েছে-তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে এই অপরাধীরা নতুন করে সংগঠিত হয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াবে। এমনকি এরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে আশ্রয় নেওয়ারও চেষ্টা করবে। কেউ যাতে তাদের আশ্রয় না দেয়, এটিও নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি নিরপরাধ কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হন-তাও নিশ্চিত করতে হবে।

ভরাডোবা ইউনিয়ন শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির পরিচিতি সভা ও শিক্ষক বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ৪:১৭ অপরাহ্ণ
ভরাডোবা ইউনিয়ন শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির পরিচিতি সভা ও শিক্ষক বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়ন শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভা, অবসরপ্রাপ্ত তিনজন শিক্ষককে বিদায় সংবর্ধনা এবং সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে ভালুকা সিটি গার্ডেন হোটেলে ওই সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি মো. আবদুর রশিদ আকন্দ এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. মো. নূরুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. মো. আজিজুল হক এবং বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইকবাল মুনির।

এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রিসার্চার ড. জেবুন নেছা রীনা, সমাজসেবিকা ফজিলাতুন্নেছা, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা অপরূপা মালাকার এবং ভালুকা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি গোলাম ফারুকসহ আরও অনেকে।

অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুর রশিদ এবং কোষাধ্যক্ষ মো. ইব্রাহিম খলিল।

ভালুকায় দুই গার্মেন্টসের দূষণ নিয়ে শুনানি, বন্ধে ৫ দফা নির্দেশনা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫, ৪:১৯ অপরাহ্ণ
ভালুকায় দুই গার্মেন্টসের দূষণ নিয়ে শুনানি, বন্ধে ৫ দফা নির্দেশনা

ময়মনসিংহের ভালুকায় অবস্থিত এক্সপেরিয়েন্স ও মুন্তাজিম নামের দুটি গার্মেন্টস কারখানা কর্তৃক আশপাশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগে বিস্তারিত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানি শেষে পরিবেশ রক্ষা ও ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত পাঁচ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

বুধবার (৯ জুলাই) অনুষ্ঠিত এ শুনানিতে স্থানীয় এলাকাবাসী, কৃষক ও কারখানার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন, কৃষি বিভাগ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা যৌথভাবে শুনানিতে অংশ নেন।

শুনানি শেষে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো, কারখানা দুটি থেকে সব ধরনের পরিবেশ দূষণ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ইটিপি (Effluent Treatment Plant) সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে, যাতে বর্জ্য যথাযথভাবে পরিশোধিত হয়। প্রাকৃতিক জলপ্রবাহে যে বাধা সৃষ্টি হয়েছে, তা অপসারণ করে পানির স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসন, কৃষি ও মৎস্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি যৌথ দল গঠন করে কারখানা পরিদর্শন করা হবে এবং কারখানাকে করণীয় বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এই যৌথ কমিটির নির্ধারণ অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।

শুনানিতে অংশগ্রহণকারী এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, গার্মেন্টস দুটির তরল বর্জ্য ফসলি জমি ও আশপাশের জলাশয়ে গিয়ে জমে থাকায় কৃষি ও মৎস্য সম্পদ ধ্বংসের মুখে পড়েছে। এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ জানালেও কার্যকর পদক্ষেপ ছিল না বলে তারা দাবি করেন।

উল্লেখ্য, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা জানান, পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের আওতায় কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভালুকায় ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫, ৪:০২ অপরাহ্ণ
ভালুকায় ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

ময়মনসিংহের ভালুকায় পাওনা টাকা চাওয়ায় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ইটভাটা মালিককে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে ভালুকা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সওদাগর পাঠান।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খারুয়ালী গ্রামের বাসিন্দা সওদাগর পাঠান দীর্ঘদিন ধরে মেদিলা গ্রামে “মেসার্স পাঠান ব্রিকস” নামে একটি ইটভাটা পরিচালনা করে আসছিলেন। ২০২১ সালে মেদিলা গ্রামের মৃত আলীম উদ্দিন সরকারের ছেলে ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা রিপন মিয়া দলীয় কিছু লোকজন নিয়ে ওই ইটভাটাটি জোরপূর্বক দখল করে নেন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে দাবি করেন সওদাগর পাঠান।

তিনি আরও জানান, ভাটা দখলের সময় তার কাছ থেকে জোর করে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়। তখন রাজনৈতিক কারণে একাধিক মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হলে পরিবারসহ তিনি আত্মগোপনে চলে যেতে বাধ্য হন। ফলে আইনি সহায়তা নেয়ার সুযোগ পাননি।

সওদাগর পাঠানের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি যখন পাওনা টাকা ফেরত চাইতে শুরু করেন, তখন রিপন মিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।

সওদাগর পাঠান বলেন, ২০১৭ সালে তিনি মেদিলা গ্রামে ইটভাটাটি স্থাপন করেন। পারিবারিক ভাবে বিএনপির রাজনীতি করায় ২০২১ সালে মামলার কারণে আত্মগোপনে ছিলেন। সেই সুযোগে রিপন মিয়া ভাটাটি দখল করে প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেয় এবং একা পেয়ে জোর করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। পরবর্তীতে পাওনা টাকা চাইলে নানা রকম হুমকি ও হয়রানি শুরু করেন।

ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত রিপন মিয়ার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।