খুঁজুন
শুক্রবার, ২৭শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ঢাকা

ভালুকা ও গফরগাঁও পিডিবি অফিসে ট্রান্সফরমার ব্যবসায় জড়িত কর্মকর্তারা, মাঠপর্যায়ে তদন্ত দাবি

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ
প্রকাশিত : সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ২:২৪ অপরাহ্ণ
ভালুকা ও গফরগাঁও পিডিবি অফিসে ট্রান্সফরমার ব্যবসায় জড়িত কর্মকর্তারা, মাঠপর্যায়ে তদন্ত দাবি

ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা ও গফরগাঁও উপজেলার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) অফিসের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে ট্রান্সফরমার অবৈধভাবে সরবরাহ ও বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। পিডিবির এক কর্মীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য, যা ইতোমধ্যেই জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ভালুকা ও গফরগাঁও অফিসের কিছু কর্মকর্তা একে অপরের নামে চিঠি ইস্যু করে নিয়মবহির্ভূতভাবে সরকারি ট্রান্সফরমার স্থানান্তরের মাধ্যমে কিছু অসাধু ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। ঈদের আগে ভালুকা অফিস থেকে গফরগাঁও অফিসের নামে চিঠি ইস্যু করে একটি ২০০ কেভিএ ট্রান্সফরমার সরানো হয়, যার সিরিয়াল নম্বর ১০৩ এবং কন্ট্রাক্ট নম্বর ২৭.১১.০০০০.৩০৪.২৪.২০.২৪.১৭।

এ ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে ভালুকা অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনোয়ারুজ্জামান, গফরগাঁও অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রাসেল সরকার (যিনি দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ ভালুকা অফিসে কর্মরত), সহকারী প্রকৌশলী মোঃ নোমান (গফরগাঁও অফিস) এবং লাইনম্যান মোঃ সুরুজ (ভালুকা অফিস)। অভিযোগে বলা হয়েছে, লাইনম্যান হয়েও মোঃ সুরুজ অর্ধকোটি টাকারও বেশি সম্পদের মালিক হয়েছেন।

এছাড়া এই চক্রে জড়িত রয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে গফরগাঁওয়ের সানী এন্টারপ্রাইজের সানী, মম এন্টারপ্রাইজের মালিক নওশাদ, এবং ভালুকার ফাহিম এন্টারপ্রাইজের অন্তর। অভিযোগে আরও বলা হয়, এই ঠিকাদারদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এবং তারা নিজেদের সুবিধামতো বদলি ও নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। এমনকি ভালুকা, গফরগাঁও ও ত্রিশাল পিডিবি অফিসের তিনজন নির্বাহী প্রকৌশলীর মধ্যে পালাক্রমে পোস্টিং বজায় রাখার জন্য একটি অঘোষিত সমঝোতার কথাও অভিযোগে উঠে এসেছে।

এ বিষয়ে ভালুকা অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনোয়ারুজ্জামান জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কেউ প্রমাণ দিতে পারবে কি না জিজ্ঞেস করে তিনি জানান, তাদের প্রয়োজনে তারা এক অফিস থেকে অন্য অফিসে জিনিসপত্র নিয়ে ব্যবহার করেন। বিক্রি করার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

গফরগাঁও অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা প্রয়োজনে এক অফিসের জিনিস অন্য অফিসে নিয়ে যাই, আমরা ব্যবহার করি। অফিসের যথাযথ নিয়ম মেনে নিয়ে যাই, সেটা যেখানে প্রয়োজন ব্যবহার করি।

পিডিবি ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, “বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।”

এদিকে এসব অভিযোগের পর পিডিবি’র অভ্যন্তরে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। সচেতন মহল ও এলাকাবাসী দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

ভালুকায় লায়ন্স ক্লাবের উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫, ১২:৫১ অপরাহ্ণ
ভালুকায় লায়ন্স ক্লাবের উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠিত

ময়মনসিংহের ভালুকায় লায়ন্স ঢাকা উত্তরা নর্থ ক্লাবের আয়োজনে এবং লায়ন আসাদুজ্জামান চৌধুরী মাসুদের তত্ত্বাবধানে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে উপজেলার ২নং ওয়ার্ড জ্ঞানীর মোড় এলাকার পাঠশালা আদর্শ বিদ্যানিকেতনে ওই চক্ষু চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করা হয়।

চক্ষু চিকিৎসা শিবিরে ঢাকা লায়ন্স হাসপাতালের অভিজ্ঞ চক্ষু বিশেষজ্ঞরা রোগীদের চোখের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা ও পরামর্শ প্রদান করেন। শিবিরে আগত রোগীদের বিনামূল্যে ঔষধ, চশমা ও লেন্স বিতরণ করা হয়। ওই চক্ষু চিকিৎসা শিবিরে প্রায় চার শতাধিক রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লায়ন্স জেলা গভর্নর (৩১৫ বি-২) লায়ন শফিউল আলম শামীম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রিজিওন চেয়ারপার্সন লায়ন কাজী তারিফুল ইসলাম, লায়ন মোঃ লতিফ ছিদ্দিকী, লায়ন আব্দুর রাজ্জাক, জোন চেয়ারপার্সন লায়ন মোস্তাফিজুর রহমান মামুন, লায়ন ফয়সাল হাসান, লায়ন শেখ জহিরুল ইসলাম সুমন, ক্লাব প্রেসিডেন্ট লায়ন মোঃ নিজাম উদ্দিন, ক্লাব সেক্রেটারি লায়ন মোঃ শামীম খান এবং পাঠশালা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের অধ্যক্ষ রাজেস সরকার।

লায়ন আসাদুজ্জামান চৌধুরী মাসুদ জানান, “চিকিৎসা শিবিরে যাদের চোখে ছানি বা নেত্রনালীর সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ পাওয়া গেছে, তাদেরকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে অপারেশন করানো হবে। রোগীদের যাতায়াত ও অপারেশনের সব খরচ আমরা বহন করব।”

ময়মনসিংহ সদরে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫, ১২:২৩ অপরাহ্ণ
ময়মনসিংহ সদরে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন

ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় উফশী রোপা আমন ধানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম প্রিন্স।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জুবায়রা বেগম সাথী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. ফারজানা হোসেন, সহকারী সার্জন ডা. তাজরিন শামস খান, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা তারিক আজিজ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাকসুদা খাতুন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আজিজা আক্তার এবং উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা নাজমুল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মেহেদী হাসান তরফদার।

সভাপতির বক্তব্যে জুবায়রা বেগম সাথী বলেন, “সরকার প্রদত্ত বীজ ও সার যেন কৃষক ভাইয়েরা তাদের নিজ নিজ জমিতে যথাযথভাবে ব্যবহার করেন, যাতে তারা লাভবান হন এবং উপজেলাটি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারে। উৎপাদনে মনোযোগী হলে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা আরও সুসংহত হবে।”

তিনি জানান, প্রণোদনার আওতায় উপজেলার ২ হাজার ৮০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে জনপ্রতি ৫ কেজি উন্নত জাতের রোপা আমন ধানের বীজ, ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে।

সরকারের এ উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করে কৃষকরা জানান, এর ফলে তারা প্রণোদিত ও উৎসাহিত হচ্ছেন এবং ভবিষ্যতেও এমন সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন।

ভালুকায় পৃথক অভিযানে হেরোইন, ইয়াবা ও পেথিডিন ইনজেকশনসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী আটক

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ৩:৫৭ অপরাহ্ণ
ভালুকায় পৃথক অভিযানে হেরোইন, ইয়াবা ও পেথিডিন ইনজেকশনসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী আটক

ময়মনসিংহের ভালুকায় পৃথক তিনটি অভিযানে হেরোইন, ইয়াবা ও নিষিদ্ধ পেথিডিন ইনজেকশনসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ টহল দল। রবিবার (২২ জুন) দিবাগত রাতে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাত আনুমানিক ২টার দিকে উপজেলার মেদুয়ারী এলাকার বাকসাতরা মোড় বাজার সংলগ্ন চায়ের দোকানের সামনে থেকে ৫ গ্রাম হেরোইনসহ মো. আতিকুর রহমান (৩৫) নামে একজনকে আটক করা হয়। তিনি ওই গ্রামের মৃত সিরু মিয়ার ছেলে। উদ্ধারকৃত হেরোইনের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। তার বিরুদ্ধে পূর্বেও ৫টি মাদক মামলা রয়েছে।

অপর দিকে রাত সাড়ে ৩টায় উপজেলার মাহমুদপুর ব্রিজঘাট এলাকার আনন্দ সাব্বির অটো ওয়ার্কশপের সামনে অভিযান চালিয়ে ২০ পিস ইয়াবাসহ মনিরুজ্জামানকে (৩০) আটক করা হয়। তিনি মাহমুদপুর গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে। জব্দকৃত ইয়াবার বাজারমূল্য প্রায় ৬ হাজার টাকা।

একই রাতে ভোর ৪টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের তেপান্তর হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের সামনে যৌথ বাহিনীর স্থাপন করা চেকপোস্টে তল্লাশি চালিয়ে মো. ফারুক মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে ৯১১ পিস নিষিদ্ধ পেথিডিন ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ৮৮ হাজার ৩০০ টাকা। আটক ফারুক নেত্রকোনা সদর উপজেলার পশ্চিম কাটলী গ্রামের আঃ হাকিমের ছেলে। জানা যায়, তার বিরুদ্ধেও পূর্বে ১৫টি মাদক মামলা রয়েছে।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, “মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই কার্যক্রম আরও জোরদারভাবে চলবে।”